খাদ্য হিসেবে মাছ গ্রহণের উপকারিতা

খাদ্য হিসেবে মাছ গ্রহণের উপকারিতা

flidmofl1 | ০৭ জানুয়ারী ২০২৫

মাছ বাংলাদেশের মানুষের অন্যতম প্রধান খাদ্য এবং প্রাণীজ আমিষের অন্যতম প্রধান উৎস। সমগ্র পৃথিবীতে প্রায় ২৫ হাজার প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। বাংলাদেশের স্বাদু পানিতে ২৬০ প্রজাতির এবং লোনা পানিতে ৪৭৫ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। নদী-নালার আধিক্য থাকায় প্রাকৃতিকভাবে এদেশে বিপুল পরিমাণ মাছ পাওয়া যায়।

উপকারিতা:

  • মাছে প্রোটিন, ভিটামিন 'এ', 'ডি' এবং ভিটামিন বি পাওয়া যায়। এছাড়াও মাছে চর্বি, খনিজ পদার্থ যেমন: আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস পাওয়া যায়।
  • নিয়মিত মাছ খেলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, চোখের অসুখ, হাত-পা ব্যথা, শরীরের দুর্বলতা ইত্যাদি রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
  • মাছের তেলে থাকা ডক্সা হেক্সোনিক অ্যাসিড (DHA) বা ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং এলকোসা পেন্টানোয়িক অ্যাসিড (EPA) মেধার বিকাশ ঘটায়; স্মৃতিশক্তি এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। মাছ রক্তে গ্লুকোজের অভাব দূর করে।
  • মাছের ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদযন্ত্রের ধমনীগুলোকে নমনীয় করে রাখতে সাহায্য করে এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।
  • নিয়মিত মাছ খেলে বাতের ব্যথা কমে।
  • বায়ুশ্বাসী বা জিয়ল মাছ যেমন: শিং, মাগুর ইত্যাদি মাছে যথেষ্ট পরিমাণে আয়রন ও তামা (কপার) থাকায় এটি রক্তে হিমোগ্লোবিন সংশ্লেষণ করে রক্ত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। রক্তহীনতায় ভোগা মানুষদের শিং ও মাগুর মাছ খেতে হয়।
  • মাছ ঘা শুকাতে সাহায্য করে। যে কোনো মাছে অতি প্রয়োজনীয় ডিএইচএ (DHA) এবং ইপিএ (EPA) থাকে। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপযুক্ত ডিএইচএ এবং ইপিএ সেবন করা অতি উপকারী। নিয়মিত মাছ খেলে মগজে ডিএইচ-এর পরিমাণ বাড়ে এবং স্মৃতিশক্তি অক্ষুন্ন থাকে।
  • সামুদ্রিক মাছে যথেষ্ট পরিমাণে আয়োডিন থাকে, তাই এই মাছ খেলে মানুষের গলগণ্ড রোগ হয় না। পাশাপাশি রাতকানা রোগ, শারীরিক দুর্বলতা, ক্ষুধামন্দা, সর্দি, কাশি, কফ, হাঁপানী, যক্ষ্মা ইত্যাদি রোগে নির্দিষ্ট পরিমাণে মাছ খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং রোগ আরোগ্য হয়।

কাঁটাসহ ছোট মাছ: কাঁটাসহ ছোট মাছ ক্যালসিয়ামের এক অনন্য উপাদান। পুষ্টি বিজ্ঞানীরা বলেন, মলা, ঢেলা, চান্দা, ছোট পুঁটি, ছোট চিংড়ি, কেচকি ইত্যাদি জাতীয় মাছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও ভিটামিন 'এ' বিদ্যমান। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের পরামর্শ হলো ছোট মাছ কাঁটাসহ চিবিয়ে খেতে হবে। তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম পাওয়া যাবে। কাজেই ছোট মাছ নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত। কারণ এর ক্যালসিয়াম শিশুদের হাড় ও দাঁত মজবুত করে।