ছাগল

ছাগল পালন

Administrator | ১৫ মে ২০২৪

ছাগল পালন :-ছাগলের রোগ বালাই তুলনামূলকভাবে কম। দ্রুত প্রজননশীণতা, মাংস ও উন্নত চামড়ার জন্য বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত । বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল বছরে ২ বার বাচ্চা দেয় এবং প্রতিবারে গড়ে ২টি বাচ্চা পাওয়া যায়। 
আমাদের দেশে ছাগল পালনে নানান  সুবিধা রয়েছে। ছাগলের জন্য বড় পশুর মত চারণভূ’মির প্রয়োজন হয় না। খেতের আইলে , রাস্তার ধারে , বাড়ির আশে-পাশের জায়গায় ঘাস, লতা,গুল্ম খেয়ে এরা জীবনধারণ করতে পারে; শুধু প্রয়োজন সুষ্ঠু পরিচর্যা।
উন্নত জাতের ছাগল নির্বাচন:
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল:
    বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল অত্যধিক কষ্টসহিষ্ণু;
    এ জাতের ছাগলকে কালো ছাগল বলা হলেও এদের গায়ের রং কালো ছাড়াও বাদামী , সাদা ও কালো মিশ্রিত হতে দেখা যায়;
    এরা আকারে তুলনামূলক ছোট , কান সোজা ও খাড়া কিন্তু শিং বাঁকানো হয়;
    এ জাতের ছাগল দ্রুত প্রজননশীল , স্ত্রী ছাগল ৯-১০ মাস বয়সে প্রথম প্রজননক্ষম ও ১৪-১৫ মাস বয়সে প্রথম বাচ্চা প্রসব করে;
    এ জাতের ছাগল বছরে দু’বার গর্ভধারণ ও প্রতিবারে ১-২টি বাচ্চা প্রসব করে, তবে কখনও কখনও ৩-৪টি পর্যন্ত বাচ্চা প্রসব করতে দেখা যায়;
    এ জাতের ছাগী দুধ কম দেয়, দুই এর অধিক বাচ্চা হলে দুধের ঘাটতি হয়;
    অনেক ছাগী দৈনিক ১-১.১৫ লিটার দুধ দেয় এবং দুধ প্রদান কাল ২-৩ মাস;
    পূর্ণবয়স্ক একটি স্ত্রী ছাগলের ওজন ১৫-২০ কেজি এবং পূর্ণবয়স্ক একটি পুরুষ ছাগলের ওজন ২৫ কেজি হয়ে থাকে;
    এ জাতের ছাগলের মাংস উন্নত, অত্যন্ত সুস্বাদু ও জনপ্রিয় ,সাধারণত ২০ কেজি ওজনের খাসী থেকে কমপক্ষে ১১ কেজি মাংস পাওয়া যায়।
ছাগলের বিভিন্ন  পালন পদ্ধতি:
সাধারণত ৪ ধরণের পদ্ধতিতে ছাগল পালন করা হয়:
১.আঙ্গিনায় বা মাঠে ছেড়ে/বেঁধে ছাগল পালন;
২. মুক্তভাবে ছাগল পালন;
৩. আধা নিবিড় (সেমি-ইন্টেনসিভ) পদ্ধতিতে ছাগল খামার;
৪.নিবিড় (ইন্টেনসিভ) পদ্ধতিতে ছাগল খামার।
১. আঙ্গিনায় বা মাঠে ছেড়ে/বেঁধে ছাগল পালন:
    এ পদ্ধতিতে ২-৫টি ছাগল পালন করা হয়, পালন সহজ ও খরচ কম হয়;
    এ পদ্ধতিতে ছাগল পালনে মাঠে ছেড়ে/বেঁধে ঘাস খেতে দেয়া হয়;
    এদের ঘরে বাড়তি কোন ঘাস  দেয়া হয় না ও লোকবলের প্রয়োজন হয় না;
    এদের পৃথক আবাসনের প্রয়োজন হয় না, নিজ বসত-বাড়ীতে রাখা হয়;
    আমাদের দেশে বেশিরভাগ কৃষক এ পদ্ধতিতে ছাগল পালন করে থাকে;
    ভাল উৎপাদনের জন্য এদেরকে দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হয়।
২. মুক্তভাবে ছাগল পালন:
এই জাতীয় খামারে সাধারণত ৮-১০টি ছাগল পালন করা হয়। এদেরকে দিনে মাঠে চাষাবাদের অনুপযোগী উঁচু জমি যেমন পাহাড় , পুকুর পাড়, রাস্তার ধারে, চর এলাকায় পতিত ভূমিতে চড়িয়ে সন্ধ্যায় বাড়িতে এনে চারিদিকে বেড়া/ঘেরাও দিয়ে পালন করা হয়। 
এদেরকে রাতে দানাদার খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হয়। চর এলাকায় এ পদ্ধতিতে ছাগল খামার করা লাভজনক।

৩. আধা নিবিড় (সেমি-ইন্টেনসিভ) পদ্ধতিতে ছাগল খামার:
এই জাতীয় খামারে সাধারণত এক সাথে ১৫-২০টি বা আরো বেশী সংখ্যক ছাগল পালন করা হয় । মুক্তভাবে ছাগল পালনের মত এ পদ্ধতিতেও দিনের বেলায় ছাগলকে মাঠে চড়ানো হয় এবং রাতে বাড়িতে এনে আবদ্ধ অবস্থায় রাখা হয় । এদেরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করার জন্য সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ঘাস ও দানাদার খাদ্য দেয়া হয় । এ পদ্ধতিতে ছাগল পালনে ছাগলের পুষ্টি, প্রজনন ও স্বাস্থ্য বিষয়ে যথাযথ যত্ন নেয়া সম্ভব হয়। 
৪.নিবিড় (ইন্টেনসিভ) পদ্ধতিতে ছাগল খামার:
এ পদ্ধতিতে খামারে আবদ্ধ অবস্থায় ছাগল পালন করা হয়। ছাগলের সেডে ঘাস ও দানাদার খাদ্য সরবরাহ করা হয় । এ পদ্ধতিতে অল্প জায়গায় অধিক সংখ্যক ছাগল পালন করা যায়। এ পদ্ধতিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ছাগল পালন করা হয় বিধায় ছাগলের পুষ্টি, প্রজনন ও স্বাস্থ্য বিষয়ে বিশেষ যত্ন নেয়া সম্ভব হয় । নিবিড় (ইন্টেনসিভ) পদ্ধতিতে একসাথে অধিক সংখ্যক ছাগল একত্রে থাকে বিধায় বিভিন্ন ছোঁয়াচে রোগের প্রকোপ বেশি দেখা দিতে পারে।
ছাগলের খাদ্য,বাসস্থান ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা:
আমাদের দেশের ছাগলকে সাধারণত ছেড়ে পালা হয় এবং এদের খাদ্য,বাসস্থান ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় তেমন কোন গুরুত্ব দেয়া হয় না। ফলে এদের নিকট থেকে আশানুরূপ উৎপাদনও পাওয়া যায় না । অথচ পর্যাপ্ত কাঁচা ঘাস, পরিমিত প্রক্রিয়াজাত খড়, দানাদার খাদ্য, পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিষ্কার পানি সরবরাহ এবং গরু-ভেড়া থেকে পৃথক আবাসন ব্যবস্থা , নিয়মিত কৃমিনাশক ও টিকা প্রদানের ব্যবস্থা নেয়া হলে এদের উৎপাদন অনেকাংশে বৃদ্ধি করা যায়।
ছাগলের খাদ্য ব্যবস্থাপনা:
    সাধারণত ১৫-২০ কেজি ওজনের বয়স্ক ছাগলের জন্য দৈনিক ১.৫-২.০ কেজি সবুজ/কাঁচা ঘাস খাওয়ানো প্রয়োজন;
    চারণভূমিতে ঘাসের পরিমাণ কম হলে ছাগল প্রতি দৈনিক ০.৫-১.০ কেজি কাঁঠাল পাতা, ইপিল ইপিল পাতা, বাবলা পাতা ইত্যাদি দিতে হবে;
    প্রতিটি ছাগলকে দৈনিক ২৫০-৩০০ গ্রাম মিশ্রিত দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হবে;
    ছাগলকে দানাদার খাদ্য হিসাবে সাধারণত চাল, গম,ভূট্টা ভাংগা, চালের কুড়া, গমের ভ’ষি, মাসকলাই/খেসারী কলাই সরবরাহ করা হয়;
    ছাগলকে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি খাওয়াতে হবে;
    এক কেজি মিশ্রিত দানাদার খাদ্য প্রস্তÍতে বিভিন্ন উপাদানের পরিমাণ:
গম/ভ’ট্টা/চাল ভাঙ্গা----------------৩০০গ্রাম
চালের কুড়া-----------------------৩০০গ্রাম
ডালের ভ’ষি/গমের ভ’মি-------------২০০গ্রাম
খৈল (তিল/সয়াবিন/সরিয়া)---------১৫০গ্রাম
ঝিনুক গুড়া-------------------------২০গ্রাম
লবণ--------------------------------৩০গ্রাম
                                  মোট =   ১০০০গ্রাম
    উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ছাগলকে ইউরিয়া-মোলাসেস-খড় প্রক্রিয়াজাত করে খাওয়ানো প্রয়োজন;
    ইউরিয়া-মোলাসেস-খড় প্রক্রিয়াজাত করতে বিভিন্ন উপকরণের পরিমাণ।
-২-৩ ইঞ্চি করে কাঁটা খড়   ---- ১ কেজি
চিটাগুড় ----------------------২২০ গ্রাম
ইউরিয়া------------------------৩০ গ্রাম
পানি---------------------------৬০০ মি.লি
ইউরিয়া-মোলাসেস-খড় (ইউ.এম.এস) প্রক্রিয়াজাতকরণ:
ইউ.এম.এস তৈরির প্রথম শর্ত হল এর উপাদানগুলির অনুপাত সর্বদা সঠিক রাখতে হবে অর্থাৎ ১০০ ভাগ ইউ.এম.এস এর শুষ্ক পদার্থের মধ্যে ৮২ ভাগ খড়,১৫ ভাগ মোলাসেস এবং ৩ ভাগ ইউরিয়া থাকতে হবে । খড় ভিজা বা মোলাসেস পাতলা হলে উভয়ের পরিমাণই বাড়িয়ে দিতে হবে । প্রথমে খড়, মোলাসেস ও ইউরিয়া পরিমাণ মেপে নিতে হবে। এরপর পানিতে ইউরিয়া ও চিটাগুড় মিশিয়ে উহা ভালভাবে খড়ের সাথে মিশাতে হবে। পানি বেশি হলে দ্রবণটুকু খড় চুষে নিতে পারবে না আবার কম হলে দ্রবণ ছিটানো সমস্যা হবে। শুকনো খড়কে পলিথিন বিছানো বা পাকা মেঝেতে সমভাবে বিছিয়ে ইউরিয়া মোলাসেস দ্রবণটি আস্তে আস্তে ঝরণা বা হাত দিয়ে ছিটিয়ে দিতে হবে এবং সাথে সাথে খড়কে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দিতে হবে যাতে খড় দ্রবণ চুষে নেয় । এভাবে স্তরে স্তরে খড় সাজাতে হবে এবং ইউরিয়া মোলাসেস দ্রবণ সমভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। ওজন করা খড়ের সাথে সম্পূর্ণ দ্রবণ মিশিয়ে নিলেই ইউ.এম.এস প্রাণিকে খাওয়ানোর উপযুক্ত হয়। প্রস্তÍতকৃত ইউরিয়া-মোলাসেস-খড় সঙ্গে সঙ্গে ছাগলকে খাওয়ানো যায় অথবা একবারে ২/৩ দিনের তৈরি খড় সংরক্ষণ করে আস্তে আস্তে খাওয়ানো যায়। তবে কোন অবস্থাতেই খড় বানিয়ে তিন দিনের বেশি রাখা উচিৎ নয়।
ছাগলের বাসস্থান:
ছাগলের রোগ বালাই কম হলেও ছাগল একটি তাপ সংবেদনশীল প্রাণি। অল্পতেই এদের ঠান্ডাজনিত অসুখ হতে পারে । তাই ছাগলের বাসস্থান নির্মাণ করার জন্য নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলোর প্রতি যত্নবান হতে হবে:- 
    ছাগলের ঘর শুষ্ক, উঁচু ও পানি জমে না এরূপ স্থানে নির্মাণ করতে হবে;
    ছাগলের জন্য সবসময়ই অধিক উপযোগী হচ্ছে মাচায় ঘর করা;
    ঘর পূর্ব -পশ্চিমে লম্বা এবং দক্ষিণ দিক খোলা রাখতে হবে;
    ঘরে প্রচুর আলো বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে ও মেঝে সবসময় শুষ্ক ও পরিষ্কার রাখতে হবে;
    একটি পূর্ণ বয়স্ক ছাগলের জন্য ১.০ থেকে ১.৫ বর্গমিটার বা ১০ থেকে ১৫ বর্গফুট এবং বাড়ন্ত বাচ্চার জন্য ০.৩ থেকে ০.৮ বর্গমিটার বা ৩ থেকে ৮ বর্গফুট জায়গা প্রয়োজন।
মাচায় ছাগলের ঘর নির্মাণ:   
    বাশঁ/কাঠ দিয়ে ছাগলের মাচা তৈরি এবং সহজে গোবর ও চনা নিচে পড়ার জন্য ঘরের মেঝেতে বাঁশের চটা বা কাঠকে ১ সে.মি.ফাঁকা রাখতে হবে;
    ছাগলের ঘরের মাচার উচ্চতা ১.০০ মিটার বা ৩.৩৩ ফুট এবং মাচা থেকে ছাঁদের উচ্চতা ১.৮-২.৪ মিটার বা ৬-৮ ফুট হলে ভাল হয়;
    মাচার নিচ থেকে সহজে গোবর/চনা সরানোর জন্য মাচা উঁচু করতে হবে;
    ঘরের মেঝে মাটির হলে সেখানে পর্যাপ্ত বালি মাটি দিতে হবে;
    বৃষ্টির পানি ছাগলের ঘরে যাতে সরাসরি না ঢোকে সে ব্যবস্থা নিতে হবে;
    শীতকালে যাতে ছাগলের ঠান্ডা না লাগে ঘরে সে ব্যবস্থা করতে হবে।
ছাগলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা:
আমাদের দেশে ছাগল মূলত পিপিআর, নিউমোনিয়া ও কৃমিতে বেশি আক্রান্ত হয় । তবে নিম্নবর্ণিত রোগে ছাগল আক্রান্ত হতে পারে-
    পিপিআর
    গোট পক্স
    একথাইমা
    তড়কা
    নিউমোনিয়া
    কৃমি

ছাগলের পিপিআর রোগের উৎস: 
পিপিআর রোগের মূল উৎস হচ্ছে-পিপিআর রোগে আক্রান্ত অসুস্থ ছাগলের সংস্পর্শে সুস্থ ছাগল আসা।
রোগের লক্ষণ:
    পিপিআর রোগ হলে ছাগল পিঠ বাঁকা করে দাঁড়িয়ে থাকে;
    নাক, মুখ ও চোখ দিয়ে তরল পদার্থ বের হতে থাকে;
    শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং পাতলা পায়খানা হয়।
পিপিআর রোগে আক্রান্ত ছাগলের চিকিৎসা:
    এ রোগের চিকিৎসায় ভাল ফল পাওয়া যায় না;
    তবে পানি স্বল্পতা পূরণে স্যালাইন খাওয়ানো/ইঞ্জেকশন দেয়া যেতে পারে;
    সুস্থ অবস্থায় ও ছাগলের বয়স ৪ মাস হলে পিপিআর টিকা দিতে হবে;
    পিপিআর টিকার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তিন বৎসর পর্যন্ত কার্যকর থাকে।
ছাগলের নিউমোনিয়া:
রোগের লক্ষণ: 
    ছাগলের এ রোগ হলে প্রথমে ঠান্ডা ও পরে জ¦র হবে;
    নাক দিয়ে শ্লেষ্মা বেড়ে যাবে এবং শ্বাস ফেলতে কষ্ট হবে।
ছাগলের নিউমোনিয়া রোগের চিকিৎসা:
    এ রোগের চিকিৎসায় ভাল ফল পাওয়া যায়;
    শরীর দূর্বল ও রক্ত স্বল্পতা দেখা দেবে;
    প্রজনন কম বা বিলম্ব হবে;
    ছাগলের ডায়রিয়া হতে পারে।
ছাগলের কৃমি রোগের চিকিৎসা:
    এ রোগ চিকিৎসায় ভাল ফল পাওয়া যায়;
    ছাগলকে পরিষ্কার, শুষ্ক,মুক্ত বায়ু চলাচল উপযোগি ঘরে রাখতে হবে;
    ভেটেরিনারি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কৃমিনাশক চিকিৎসা নিতে হবে।
ছাগলের রোগ প্রতিকারে যে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন:
সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা করার জন্য সুস্থ অবস্থায় ছাগলকে টিকা প্রদান 
একথাইমা রোগের ভ্যাকসিন ছাগলের বাচ্চা জন্মের ৩য় দিনে ১ম ডোজ এবং ১৫-২০ দিন পর ২য় ডোজ দিতে হবে;
৩ মাস বয়সে ছাগলকে ক্ষুরা রোগের টিকা দিতে হবে;
৪ মাস বয়সে পিপিআর রোগের ভ্যাকসিন দিতে হবে;
৫ মাস বয়সে গোট পক্সের ভ্যাকসিন দিতে হবে;
পালের সব ছাগলকে একই দিনে বছরে দু’বার (বর্ষার শুরু ও শীতের শুরুতে) কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়াতে হবে।