পুকুর প্রস্তুতি :
পানির রাসায়নিক গুণাগুণ বজায় রাখার জন্য পুকুরে পাথুরে চুন ব্যবহার করতে হয়। দোঁআশ মাটির জন্য ১ কেজি/ শতক এবং এটেল মাটির জন্য ২ কেজি / শতক।
চুন প্রয়োগের ৫ - ৭ দিন পর প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদনের জন্য রাসায়নিক সার নিন্মে বর্ণিত হারে প্রয়োগ করতে হবে :
চিংড়ির আশ্রয়স্থল স্থাপন
খোলস বদলের সময় চিংড়ি দুর্বল থাকে। তখন এদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল প্রয়োজন। ঘের/ পুকুরের তলায় কিছু জলজ উদ্ভিদ থাকলে তা চিংড়ির আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে। এছাড়া তাল বা নারিকেলের শুকনা পাতা , বাশের কঞ্চি, ভাঙ্গা প্লাষ্টিকের পাইপ, ভাঙ্গা কলসের টুকরা, গাছের ডাল ব্যবহার করে চিংড়ির আশ্রয়স্থল বানিয়ে দিতে হবে।
মজুদ ঘনত্ব
ক্রমিক নং |
প্রজাতির নাম |
মজুদ সংখ্যা(শতাংশে) |
আকার |
০১. |
জুভেনাইল |
৫০-৬০ |
10 -12 |
০২. |
কাতলা |
১-২ |
20-25 |
০৩. |
রুই |
১-৩ |
20-25 |
০৪. |
গ্রাসকার্প |
১-২ |
57 |
০৫. |
সিলভার কার্প |
২-৩ |
57 |
|
মোট = |
৫৫-৭০ |
|
মজুদ কালীন সার ও চুন প্রয়োগ
মজুদ কালীন সময়ে পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য না থাকলে প্রতি সপ্তাহে নিন্মের হারে সার প্রয়োগ করতে হবে :
সরিষার খৈল : ১০০ গ্রাম/শতক
ইউরিয়া: ৩০ গ্রাম/শতক
টিএসপি : ২০ গ্রাম/ শতক
প্রতি মাসে ২০০ গ্রাম/ শতক চুন প্রয়োগ করতে হব
চিংড়ির পুকুরে খাদ্য প্রয়োগ
চিংড়িকে ২৫-৩০% আমিষযুক্ত দানাদার পিলেট খাবার দিতে হবে। চিংড়ি নিশাচর প্রাণী, তাই চিংড়ির খাবার অন্ধকার সময়ে দিতে হবে। সে জন্য কার্প-চিংড়ি মিশ্রচাষের পুকুরে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় খাবার দুভাগ করে এক ভাগ সকাল ৬ টায় আরেক ভাগ সন্ধ্যা ৬ টায় প্রয়োগ করতে হবে।
আহরণ ও বিক্রয়
চিংড়ির গড় ওজন ৮০ গ্রাম এবং কার্পের গড় ওজন ৭০০ - ১০০০ গ্রাম হলে ধরে ফেলতে হবে।