মাছ চাষ

পাঙ্গাস মাছ চাষ

Jakia sultana | ১৬ মে ২০২৪

পাঙ্গাস একটি ব্যাপক চাষকৃত মাছের প্রজাতি।  বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউটের নদী কেন্দ্র চাঁদপুরে ১৯৯০ সালে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে সর্বপ্রথম থাই পাঙ্গাসের পোনা উৎপাদন ও পরবর্তীতে পুকুরে চাষ শুরু হয়।

পাঙ্গাস মাছের সুবিধা

  • এ মাছ অধিক ঘনত্বে চাষ করা যায়।
  • এর বৃদ্ধির হার রুই জাতীয় মাছ থেকে বেশি।
  • রুই জাতীয় মাছের সাথে মিশ্র চাষ করা যায়।
  • প্রতিকূল পরিবেশে পাঙ্গাস মাছ বাঁচতে পারে।

সঠিকভাবে পাঙ্গাস চাষ করলে হেক্টর প্রতি ২৫-৩০ টন মাছ পাওয়া যায়।

 

 পুকুর প্রস্তুতি

  • পুকুর পাড়ে ঝোপঝাড় থাকলে পরিষ্কার করতে হবে যাতে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা রোদ প্রবেশ করতে পারে।
  • অতিরিক্ত কাঁদা অপসারণ করা।
  • জলজ আগাছা ও পুকুরের রাক্ষুসে মাছ দমন করা ( রোটেনন ২৫-৩০ গ্রাম/শতক)।

 

 চুন ও সার প্রয়োগ

পানির রাসায়নিক গুণ বজায় রাখার জন্য পুকুরে পাথুরে চুন প্রয়োগ করতে হয়। দোঁআশ মাটির জন্য  ১ কেজি/শতক এবং এঁটেল মাটির জন্য ২ কেজি/শতক।

চুন প্রয়োগের ৫-৭ দিন পর প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদনের জন্য রাসায়নিক সার নিন্মেবর্ণিত হারে প্রয়োগ করতে হবে:

                                           

ইউরিয়া

টিএসপি

 খৈল

১০০-১২০ গ্রাম

১২০-১৫০ গ্রাম

৫০০-৭০০গ্রাম

 

পুকুরে পোনা মজুদ ঘনত্ব
পাঙ্গাস একক চাষের ক্ষেত্রে শতাংশ প্রতি ১০০-১২০ টি হারে পোনা মজুদ করা যাবে।
মিশ্রচাষের ক্ষেত্রে:

     প্রজাতির নাম

 মজুদ সংখ্যা(শতাংশে)

 আকার(সেমি)

  পাঙ্গাস

৫০-৬০

১০-১২

সিলভার কার্প

১২-১৫

২০-২৫

 রুই

৮-১০

২০-২৫

মনোসেক্স তেলাপিয়া

৩০-৩৫

৫৭

মোট

১০০-১২০

 

 

 খাদ্য প্রয়োগ

বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির মাছের পিলেট খাদ্য পাওয়া যায়। খাদ্যের গুণাগুণ মান নিশ্চিত হয়ে পুকুরে পিলেট খাদ্য ব্যবহার করতে হবে। মাছ ছাড়ার পরের দিন থেকে ১ম  ১৫ দিন মাছের মোট ওজনের ১০-১৫% হারে  ও পরে মাসে মাসে কমিয়ে ২-৩% হারে প্রতিদিন মোট পরিমাণের সকালে ৫০% ও বিকালে ৫০% খাবার দিতে হবে।

 

  মজুদ কালীন সার প্রয়োগ

মজুদ কালীন সময়ে পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য না থাকলে প্রতি সপ্তাহে নিন্মের হারে সার প্রয়োগ করতে হবে:

 

ইউরিয়া

টিএসপি

 খৈল

৩০ গ্রাম

২০ গ্রাম

১০০ গ্রাম

 

   আহরণ ও বিক্রয়

পাঙ্গাস মাছ  ৮-১০ মাস চাষ করলে গড়ে  ১.৫-২.৫ কেজি ওজনের হয়ে থাকে এবং বিক্রয় যোগ্য হয়।