ভূমিকা:
বাংলাদেশে প্রায় ২০ প্রকার কবুতর রয়েছে। এগুলো কোন নির্দিষ্ট জাতের নয়। আমাদের গ্রামাঞ্চলে সাধারণত এরা চড়ে বেড়ায়। বাংলাদেশের জলবায়ু এবং বিস্তীর্ণ শষ্যক্ষেত্র কবুতর পালনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী । পূর্বে কবুতরকে সংবাদ বাহক, খেলার পাখি হিসেবে ব্যবহার করা হতো। কবুতরের মাংস সাধারণ অন্যান্য পাখির মাংসের চাইতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। বাণিজ্যিক ভাবে কবুতর পালন অত্যন্ত লাভজনক। কিন্তু বর্তমানে এটি পরিবারের পুষ্টি সরবরাহ, সমৃদ্ধি, শোভাবর্ধনকারী এবং বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এদের সুষ্ঠ পরিচর্যা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সঠিকভাবে প্রতিপালন করে আর্থ-সামজিক উন্নয়নে অবদান রাখা যায়।
কবুতরের জাত:
পৃথিবীতে প্রায় দু’শ থেকে তিন’শ জাতের কবুতর আছে। মাংস উৎপাদনের জন্য হোয়াইট কিং, সিলভার কিং, কারনিউ, রান্ট ইত্যাদি। রেসিং কবুতর হচ্ছে রেসিং হোমার, হর্স ম্যান উল্লেখযোগ্য। ফ্লাইং কবুতর হচ্ছে বার্মিংহাম রোলার, থাম্বলার, কিউমুলেট ইত্যাদি। শোভাবর্ধণকারীর জন্য মালটেজ, ক্যারিয়ার, টিম্বলার, প্লোটারস এবং দেশী কবুতরের জাত হচ্ছে-সিরাজী, জালালী, গিরিবাজ, লোটন, গোলা, গোলী, কিং, ফ্যানটেল, জ্যাকোবিন, মুক, হোমিং, বোম্বাই ও গোবিন্দ ইত্যাদি।
কবুতর পালনের প্রয়োজনীয় তথ্যাবলীর সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
সাধারণত: পুরুষ ও স্ত্রী কবুতর জোড়া বেধে আজীবন এক সাথে বাস করে। এদের জীবনকাল ১২ থেকে ১৫ বছর। স্ত্রী পুরুষ উভয়ে মিলে খড়কুটা সংগ্রহ করে ছোট জায়গায় বাসা তৈরি করে (ডিম পাড়ার স্থান) । ৫ থেকে ৬ মাস বয়স স্ত্রী কবুতর ডিম পাড়া শুরু করে । এরা ২৮ দিন অন্তর ৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে ২ (দুই)টি ডিম দেয় এবং পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত দেয়া ডিমে বাচ্চা উৎপাদন ক্ষমতা সক্রিয় থাকে । স্ত্রী পুরুষ উভয়েই পালা করে ডিমে তা দেয়। ডিম থেকে বাচ্চা ফুটতে ১৭ থেকে ১৮ দিন সময় লাগে। ডিমে তা দেয়ার ১৫ থেকে ১৮ দিন সময় লাগে। ডিমে তা দেয়ার ১৫ থেকে ১৬ দিনের মধ্যে স্ত্রী ও পুরুষ উভয় কবুতরেরই খাদ্য থলিতে দুধ জাতীয় (Crop Milk) বস্তু তৈরি হয় যা খেয়ে বাচ্চারা ৪দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকে। স্ত্রী ও পুরুষ কবুতর উভয়েই ১০ (দশ) দিন পর্যন্ত এদের বাচ্চাকে ঠোঁট দিয়ে খাওয়ায় এরপর বাচ্চারা দানাদার খাদ্য খেতে আরম্ভ করে।
কবুতর পালনের সুবিধা:
বিনিয়োগ কম, বেকার যুবক এবং দুঃস্থ মহিলাদের কর্মসংস্থানের উপায়, শিক্ষিত লোকও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে খামার করে আয় বর্ধন করতে পারে, সংক্ষিপ্ত প্রজননকাল, রোগবালাই কম, অল্প জায়গায় পালন করা যায়, অল্প খাদ্যের প্রয়োজন হয়, প্রতিপালন অত্যন্ত সহজ, পরিবেশ বান্ধব, ভারসাম্যতা বজায়কারী এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য, মল জৈবসার হিসেবে ব্যবহার করা যায় ও মাংস সুস্বাদু, পুষ্টিকর, সহজে পাচ্য, বলকারক এবং প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণের উৎস।
কবুতর চেনার উপায়:
পুরুষ কবুতর: তুলনামূলকভাবে আকারে বড়, চঞ্চল, দেহ চাকচিক্যপূর্ণ, মলদ্বারে উঁচু মাংসল অংশ থাকে, স্ত্রী কবুতরকে ঘিরে ঘুরে ঘুরে ডাকে, ঠোঁট সামনের দিকে টানলে গলা নিজের দিকে নেয়ার চেষ্টা করে।
স্ত্রী কবুতর: আকারে ছোট, শান্ত এবং নমনীয় প্রকৃতির, মলদ্বারে উঁচু মাংসল অংশ থাকে না, এরা ঘুরে ঘুরে ডাকে না এবং ঠোঁট সামনের দিকে টানলে চুপ করে থাকে।
কবুতরের বাসস্থান:
স্থান: কবুতরের ঘর হবে উঁচু ভূমিতে, মাটির প্রকৃতি হবে বালুময় এবং উত্তম নিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকতে হবে।
অবস্থান: কবুতরের ঘর মালিক বা খামারীর আবাসস্থল থেকে ২০০-৩০০ ফুট দূরে হওয়া উচিত, এতে খামারী সারাক্ষণ যত্ন বা তদারকি করতে পারবেন। পর্যাপ্ত সূর্যালোক এবং বায়ু চলাচল আছে এরূপ স্থানে ঘর তৈরি করতে হবে। ঘর সাধারণত দক্ষিণমুখী হওয়া ভালো।
আকার:
একটি খামারের জন্য ৩০-৪০ জোড়া কবুতর আদর্শ । এরূপ ঘরের মাপ হবে ৯ ফুট × ৮.৫ ফুট। কবুতরের খোপ ২-৩ তলাবিশিষ্ট করা যায়। একজোড়া কবুতরের জন্য ২টি খোপ দরকার যাতে করে একটি খোপে ১টি কবুতর ডিমে তা দিলে অন্য খোপে আরেকটি কবুতর থাকতে পারে । এতে ডিম তা দেয়া সুবিধা হয়। এরূপ খোপের আয়তন প্রতিজোড়া ছোট আকারের কবুতরের জন্য ৩০×৩০×২০ সে.মি. এবং বড় আকারের কবুতরের জন্য ৫০× ৫৫×৩০ সে.মি.।
ঘরের উচ্চতা:
মাটি থেকে ঘরের উচ্চতা ২০-৩৬ ফুট, তবে ২৪ ফুট হওয়া ভালো এবং খাঁচার উচ্চতা ৮-১০ ফুট হওয়া ভালো।
খাদ্য ব্যবস্থাপনা:
কবুতরের বাচ্চার খাদ্য: ডিম ফুটে বাচ্চা বের হওয়ার কমপক্ষে ৪-৫ দিন পর কবুতরের বাচ্চার চোখ ফুটে । এজন্য এসময় বাচ্চাগুলো কোন দানাদার খাদ্য গ্রহণ করতে পারে না। এ সময় স্ত্রী এবং পুরুষ কবুতর তাদের পাকস্থলী (ক্রপ) থেকে ঘন ক্রিম বা দধির মত নিঃসরণ করে যাকে কবুতরের দুধ বলে। এ দুধ অধিক আমিষ, চর্বি এবং খনিজ লবণ সমৃদ্ধ যা খেয়ে কবুতরের বাচ্চা বড় হয় এবং এক সপ্তাহ পর্যপ্ত খেতে পারে। বাচ্চাগুলো যখন বড় হতে থাকে তখন স্ত্রী এবং পুরুষ কবুতর উভয়ে দানাদার খাদ্যের সাথে দুধ মিশিয়ে ঠোঁট দিয়ে বাচ্চাদের খাওয়ায় । বাচ্চা বড় হয়ে নিজে খাদ্য গ্রহণ না করা পর্যন্ত এভাবে খাবার খাওয়াতে থাকে।
প্রাপ্ত বয়স্ক কবুতরের খাদ্য:
কবুতরের জন্য তৈরিকৃত খাদ্য শর্করা, আমিষ, খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন, চর্বি এবং খনিজ লবণ সম্পন্ন সুষম খাদ্য হতে হবে। কবুতর দানাদার জাতীয় খাদ্য বেশি পছন্দ করে, ম্যাশ বা পাউডার জাতীয় খাদ্য অপছন্দ করে। ছোট আকারের প্রতিটি কবুতরের জন্য প্রতিদিন ২০-৩০ গ্রাম, মাঝারি আকারের জন্য ৩০-৩৫ গ্রাম এবং বড় আকারের জন্য ৫০-৬০ গ্রাম খাদ্য প্রয়োজন। দানাদার খাদ্যে ভূট্টা ৩৫%, ডাল ২০%,গম ৩০%, ঝিনুকের গুঁড়া ৭%, ভিটামিন বা প্রিমিক্স ৭%, লবণ ১% থাকা প্রয়োজন। কবুতরকে কচি ঘাস সরবরাহ করা প্রয়োজন। প্রতিদিন ২ বার খাদ্য সরবরাহ করা ভালো। মাঝে মাঝে পাথর, ইটের কণা (গ্রিট) এবং কাঁচা হলুদের টুকরা দেয়া উচিত কারণ এ গ্রিট পাকস্থলতে খাবার ভাঙ্গতে এবং হলুদ পাকস্থলী পরিস্কার বা জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া কবুতরের প্রজননের সময় বা ডিম দেয়ার সময় গ্রিট মিশ্রণ বা খনিজ মিশ্রণ, ডিম এবং ডিমের খোসা তৈরি এবং ভালো হ্যাচাবিলিটির জন্য প্রয়োজনীয়।
পানি সরবরাহ:
প্রতিদিন পানির পাত্র ভালোভাবে পরিষ্কার করে কবুতরকে দিনে ৩ বার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা উচিত । কবুতর যেহেতু ঠোঁট প্রবেশ করিয়ে ঢোক গেলার মাধ্যমে পানি পান করে সেহেতু পানির পাত্র গভীর বা খাদ্য জাতীয় হওয়া উচিত। দুই সপ্তাহ পর পর পটাশ মিশ্রিত পানি সরবরাহ করলে পাকস্থলী বিভিন্ন জীবাণুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে।
স্বাস্থ্যসম্মত খামার ব্যবস্থাপনা:
খামার হতে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খামার ব্যবস্থাপনা বা খামারের জীব নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কেননা বেশিরভাগ রোগই খামার ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খামার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করলে একদিকে যেমন বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে অন্য দিকে তেমনি মানসম্মত বাচ্চা উৎপাদন হবে এবং অধিক লাভবান হওয়া যাবে। স্বাস্থ্যসম্মত খামার ব্যবস্থাপনার মৌলিক বিষয়গুলো নিম্নে তালিকাবদ্ধ করা হলো:
০১. সঠিকভাবে সেড তৈরি করতে হবে যেন পর্যাপ্ত আলো বাতাস প্রবেশ এবং বায়ু চলাচল করতে পারে।
০২. উপরে বর্ণিত উপায়ে সঠিক মাপে খোপ তৈরি করতে হবে।
০৩. কবুতর উঠানোর আগে খামারসহ ব্যবহারয্য সকল যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
০৪. সুস্থ সবল কবুতর সংগ্রহ করতে হবে। প্রয়োজনে বাহ্যিক পরজীবী নিধনের জন্য ০.৫% ম্যালাথিয়ন দ্রবণে কবুতরকে গোসল করিয়ে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কবুতরের মুখ এ দ্রবণে ডুবানো যাবে না। হাত দিয়ে মাথায় লাগিয়ে দিতে হবে। অন্তঃপরজীবী প্রতিরোধের জন্য কৃমিনাশক ঔষধ সেবন করাতে হবে।
০৫. জীবাণুমুক্ত খাবার এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে। বিশেষ করে খাবার যাতে কোন অবস্থাতেই অতিরিক্ত আর্দ্রতাযুক্ত না হয়। অতিরিক্ত আর্দ্রতাযুক্ত খাবারের মাধ্যমে এসপারজিলোসিস ও বিষক্রিয়াসহ জটিল রোগ হতে পারে।
০৬.কবুতরের খোপ, দানাদার খাদ্য ও খনিজ মিশ্রণ সরবরাহের পাত্র, পানির পাত্র ও গোসল করার পাত্র এবংকবুতর বসার স্ট্যান্ড নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
০৭. খামারে মানুষের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রতিবার খামারে প্রবেশ করার পূর্বে এবং খামার থেকে বের হওয়ার সময় হাত ও পা অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আয়োডিন যৌগ ( আয়োডিন, পোভিসেপ) বা কার্যকর জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে হবে।
০৮. খামারে যাতে বন্য প্রাণী ও ইঁদুর জাতীয় প্রাণী প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কেননা বন্য প্রাণী ও ইঁদুর দ্বারা রাণীক্ষেত, মাইকোপ্লাজমা ও সালমোনেলাসহ গুরুত্বপূর্ণ রোগ খামারে আসতে পারে।
০৯. শেড এবং খোপ নিয়মিত পরিস্কার করে খামারের ভেতরের পরিবেশ অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে হবে।
১০. কোনো কুবতর অসুস্থ হলে দ্রুত আলাদা করে ফেলতে হবে। অসুস্থ বা মৃত কবুতর অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানের মাধ্যমে পরীক্ষা করিয়ে কারণ জেনে অন্যান্য জীবিত কবুতরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
১১. খামারে কোন সমস্যা দেখা দিলে তা অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী মোকাবেলা করতে হবে।
আয় ও লাভ:
বাজারে কবুতরের প্রচুর চাহিদা রয়েছে । এক জোড়া কবুতর বছরে প্রায় ১২ জোড়া বাচ্চা দেয়। বাচ্চা বাজারে চড়া দামে বিক্রি করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সৌখিন কবুতর উৎপাদন করে যথেষ্ট অর্থ উপার্জন করা যায়।
টিকা প্রদান:
খামারে রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা প্রয়োগ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কবুতরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রোগ হলো রানীক্ষেত ও পক্স।
রোগের নাম |
টিকার নাম |
বয়স |
টিকার মাত্রা |
প্রয়োগ স্থান |
রানীক্ষেত |
বি.সি.আর.ডি.ভি টিকা |
৭ দিন বয়স এবং ২১ দিন বয়সে বুস্টার ডোজ |
১ ফোঁটা |
১ চোখে |
পিজিয়ন পক্স |
পিজিয়ন পক্স টিকা |
৩-৫ দিন বয়সে |
১ ফোঁটা |
পাখার নীচে চামড়া খুঁচিয়ে |
কবুতরের রোগবালাই ও তার প্রতিকার:
রোগের নাম |
রোগের লক্ষণ |
চিকিৎসা/প্রতিরোধ |
রানীক্ষেত |
সবুজ ডায়রিয়া বা টুথ পিকের মতো পায়কানা এবং প্যারালাইসিস মাথা কাঁপুনি, পা এবং পাখা ঝুলে পড়া ঘাড় উল্টানো। |
রানীক্ষেত টিকা প্রয়োগ করতে হবে। |
ইনক্লুশন বডি হেপাটাইটিস |
দুর্গন্ধযুক্ত বাদামি বা সবুজ ডায়রিয়া, ঝিমানো, খাবারে অনীহা, শুকিয়ে যাওয়া, বমি করা এবং হঠাৎ মারা যাওয়া। |
কোনো চিকিৎসা নাই। আক্রান্ত কবুতরকে দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে। |
বসন্ত |
পালকবিহীন অংশ যেমন-চোখ বা মুখের চারদিক,পা ইত্যাদি জায়গায় এ রোগের ফোস্কা বা গুটি দেখা যায়। |
পিজিয়ন পক্স ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করতে হবে। |
সালমোনেলোসিস |
ডায়রিয়া, শুকিয়ে যাওয়া ,পা এবং পাখায় প্যারালাইসিস এবং ডিম পাড়ার সমস্যা, জেলির মতো হলুদ বা সবুজ পাতলা পায়খানা করে এবং মারা যায়। পা এবং পাখার গিরা ফুলে যায় ও ব্যথা হয়। |
এন্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। |
এসপারজিলোসিস |
শ্বাসকষ্ট, ঝিমানো শুকিয়ে যাওয়া, খাবারের প্রতি অনীহা, ওজন কমে যাওয়া এবং ঘন ঘন পিপাসা পাওয়া। |
কার্যকরী ছত্রাক বিরোধী ঔষধ যেমন-Amphotericinদিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। |
রক্ত আমাশয় |
রক্ত মিশ্রিত ডায়রিয়া, ক্ষুধামন্দা এবং ওজন কমে যাওয়া। |
সালফারজাতীয় ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। |
ক্যাঙ্কার |
অস্থিরতা, পাখা উস্ক কুস্কু, খাদ্য গ্রহণ কমে যায় এবং শুকিয়ে মারা যায়। মুখের চারিদিকে সবুজাভ বা হলুদ লালা লেগে থাকে এবং ঠোঁট বেয়ে লালা পড়ে। |
আক্রান্ত কবুতরকে দ্রুত দল থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে এবং অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ান এর পরামর্শ মোতবেক ব্যবস্থা নিতে হবে। |