ঘাসচাষ

উন্নত জাতের ঘাসচাষ (নেপিয়ার পাকচং) প্রযুক্তি সম্প্রসারণ

Administrator | ১৫ মে ২০২৪

ঘাসের নাম: নেপিয়ার পাকচং।

উৎপত্তি: এই ঘাসটির উৎপত্তি থাইল্যান্ডের পাকচং প্রদেশে। এটি নেপিয়ারের সাথে পারল মিলেটের শংকরায়নের ফলে সৃষ্ট একটি উচ্চ ফলনশীল ঘাস।

ঘাসের বৈশিষ্ট্য : সবুজ, রসালো, মোটা কান্ড, পাতা মসৃণ ও খুবই সুস্বাদু। সারা বছর এই ঘাসের চাষ ও ফলন পাওয়া যায়। শুষ্ক পদার্থের পরিমাণ ১৫% । উচ্চ ক্রড প্রোটিন (১৬-১৮) সমৃদ্ধ।

ঘাসের বিশেষত্ব: বাংলাদেশ  প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট, সাভার, ঢাকা- এর সংশিষ্ট বিজ্ঞানীরা এ ঘাসের উৎপাদন দক্ষতা ও পুষ্টিমান নির্ণয় করে জানান যে, পাকচং ঘাসের পুষ্টিমান ও উৎপাদন দক্ষতা অন্যান্য নেপিয়ার জাতের ঘাসের তুলনায় অধিক এবং ঘাসের উৎপাদন ধারাবাহিকতা শীতকালেও বজায় থাকে।

জমি নির্বাচন: উঁচু জমি যেখানে বৃষ্টি বা সেচের পানি জমে না।

জমি তৈরি: জমিতে ভালভাবে দুটি চাষ ও দুটি মই দিতে হবে।

সার প্রয়োগ: প্রতি একরে গোবর ১৫ মে.টন, টিএসপি ৫০ কেজি ও এমওপি ২৫ কেজি। ইউরিয়া-রোপনের ২১ দিন পর ৫০ কেজি ও ৪৫ দিন পর ৫০ কেজি।

জমিতে রোপন ও সেচ: লাইন টু লাইন ৪ ফুট এবং কাটিং টু কাটিং ৩ ফুট। প্রতি গর্তে দুটি কাটিং ক্রস করে ৪৫ ডিগ্রি কোণে লাগাতে হবে। অধিক ফলন পাওয়ার জন্য শুকনো মৌসুমে ১০ দিন পর পর সেচ দিতে হবে।

কর্তন কাল: প্রথম রোপনে ৬০ দিন পর এবং পরবর্তীতে ৪৫-৬০ দিনের মধ্যে। কাটিং সংগ্রহের জন্য ৯০-১২০ দিনের মধ্যে।

একর প্রতি উৎপাদন: বছরে ৪৮০ মে.টন/হেক্টর।