সমুদ্র অর্থনীতি
সামুদ্রিক মাছের উপকারিতা
ABUL KASHEM |
১৬ মে ২০২৪
সামুদ্রিক মাছের উপকারিতা
সপ্তাহে অন্তত একদিন সামুদ্রিক মাছ খান।
- সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে এবং রেটিনার কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে সার্বিকভাবে দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে।
- সামুদ্রিক মাছে ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-ডি থাকে। যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই হৃদরোগে আক্রান্ত এবং মধুমেহ (ডায়াবেটিস) রোগীদের জন্য সামুদ্রিক মাছ উপকারী।
- বিভিন্ন ধরণের সামুদ্রিক মাছের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইলিশ, চিংড়ি, লইট্টা প্রভৃতি। এগুলোতে আছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, ভিটামিন, জিংক ও আয়োডিন। জিংক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আয়োডিন গলগন্ড রোগ প্রতিরোধ করে।
- সামুদ্রিক মাছ খেলে নার্ভের রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে। এতে হাত-পায়ের অসাড়তা, হঠাৎ ক্লান্তি এবং পেশির কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।
- সামুদ্রিক মাছের আমিষ সহজে পরিপাকযোগ্য। এ ছাড়া দেহের ক্ষয় রোধে সাহায্য করে। এটি ভিটামিন- বি এর উৎকৃষ্ট উৎস।
- মাছে প্রচুর সিলেনিয়াম রয়েছে, যা দেহে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। স্যামন, ম্যাকরেল মাছ থেকে ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-ডি পাওয়া যায়।
- লো ফ্যাট ডায়েট অনুসরণ করার পাশাপাশি প্রতিদিন যদি সামুদ্রিক মাছ খাওয়া যায়, তাহলে প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
- টুনা মাছে পুষ্টির ভাগ খুব বেশি। ভিটামিন বি-৩, বি-১২, বি-৬, বি-১, বি-২ এবং ভিটামিন-ডি এর মতো মাল্টি ভিটামিন থাকে টুনা মাছে।
- স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী হল তৈলাক্ত মাছ। যেমন ভেটকি, ম্যাকারেল, ইলিশ, পাকা রুই, কাতলা, চিতল ইত্যাদি মাছে থাকে আয়োডিন, ভিটামিন-ডি, প্রোটিন, ফসফরাস সহ নানা খনিজ। যা আমাদের মস্তিষ্ককে উজ্জ্বীবিত করার পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
- কোরাল মাছে জিংক ও আয়োডিন রয়েছে যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও গলগন্ড রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। গর্ভবতী মায়ের আমিষের চাহিদা বেশি থাকে (দৈনিক ৩৪০ গ্রাম) যা কোরাল মাছ খুব সহজেই পূরণ করতে পারে।
- রূপচাঁদা মাছ শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়। শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক পদার্থগুলোর মধ্যে একটি হলো রূপচাঁদা মাছের ভিতরের তেল। এই মাছ এবং এর ভিতরের তেল স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই শিশুদের জন্য রূপচাঁদা মাছ খুবই কার্যকরী।
- রূপচাঁদা মাছ আমাদের রক্তশূন্যতা দূর করে। রূপচাঁদা মাছে আয়রন আছে। আয়রনের কাজ হলো পুনরায় হিমোগ্লোবিন তৈরি। রূপচাঁদা মাছ ২১% পর্যন্ত স্ট্রোকের তীব্রতা হ্রাস করতে সক্ষম। এ ছাড়াও এ মাছ আমাদের স্নায়ুর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।