প্রাণিসম্পদ খাতের প্রযুক্তি

গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ প্রযুক্তি ও এর ব্যবস্থাপনা

Md.Samsul Alam | ১৫ মে ২০২৪

গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ

পটভূমি:

বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের প্রিয় খাদ্য গরুর মাংস। প্রতি বছর ৬০০Í১০৩ মেট্রিক টন গরুর মাংস উৎপাদন হয়। এর পুরোটারই উৎস গ্রামীণ উৎপাদন ব্যবস্থা। বাংলাদেশে গরুর মাংস ‍উৎপাদনের কোনো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি খামারি chv©‡q নেই। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে গরুর মাংস উৎপাদনের নির্দিষ্ট জাত আছে এবং এদের বাছুরগুলো ১৮ থেকে ২৪ মাস পালন করে মাংসের জন্য বাজারজাত করা হয়। উচ্চ মূল্য সম্পন্ন ভিল (veal) উৎপাদনের জন্য অনেক সময় ৯ মাসেও গরুগুলোকে জবাই করে বাজারজাত করা হয়। এ ধরনের মাংস উৎপাদন পদ্ধতি বাংলাদেশে সম্পূর্ণভাবে অনুপস্থিত এবং মাংস উৎপাদনের জন্য গরুর জাতও পাওয়া যায় না।

বাংলাদেশে বর্তমান প্রাণী উৎপাদন ব্যবস্থাকে বিবেচনায় রেখে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহারে কিভাবে লাভজনক ভাবে মাংস উৎপাদন করা যায় সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ প্যাকেজ প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে। ষাঁড় ও বলদ পুনরুৎপাদন ক্ষমতাহীন গাভীগুলো এ প্রক্রিয়াতে ব্যবহার হয়ে থাকে। খাদ্যভাবে দেশি গবাদি প্রাণীগুলোর মাংস বা দুধ উৎপাদন আশানুরূপ নয়। ষাঁড় বা বলদগুলো কর্ষণ বা গাড়ি টানা শক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় এবং খাদ্যভাবে দুর্বল থাকে। ফলে মাংস উৎপাদন আশানুরুপ হয় না। এরূপ ষাঁড় এবং বলদগুলোকে যখন পুষ্টিকর খাদ্য সবররাহ করা হয় তখন এদের অতীতের উৎপাদন ক্ষমতা খুব কম সময়ে পুষিয়ে আনতে চায় । বিষয়টি  প্রায় সব জীবের জন্যই সত্য বলে বিবেচিত। A_v©r কোনো জীবকে যখন কিছুদিন অপুষ্টিতে খাদ্য সরবরাহ করা হয় তখন উক্ত জীব তাঁর পূর্বেই অপুষ্টিজনিত হ্রাসকৃত বৃদ্ধি পুষিয়ে নেয় । জীবের এ ধরনের বৃদ্ধিকে ক্ষতিপূরণমুলক বৃদ্ধি (compensatory Growth) বলা হয় । অপুষ্ট এ্ববং দুর্বল গরুগুলো উন্নত পুষ্টি ও খাদ্যে স্বল্প সময়ে যে শরীর ‍বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় তা লাভজনক মাংস উৎপাদন পদ্ধতি হিসেবে বিএলআরআই এর গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। এর ভিত্তিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ প্যাকেজ প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যে সমস্ত অঞ্চলে ব্যবহার যোগ্য: দেশের প্রায় সমস্ত অঞ্চল ।

প্রযুক্তিটির মূল বৈশিষ্ট্য: ‘কমপেনসেটরি গ্রথ’ ব্যবহারে দেশি অপুষ্ট গরু হতে লাভজনকভাবে মাংস উৎপাদন ।

 

 

প্যাকেজ প্রযুক্তির বর্ণনা:

 গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ প্যাকেজ চার (৪)টি পর্ব বিশিষ্ট একটি উৎপাদন প্রযুক্তি। পর্বগুলো হচ্ছে –

১। গরু নির্বাচন

২। কৃমিমুক্তকরণ

৩। পুষ্টি ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা

৪। বাজারজাতকরণ

১। গরুর বয়স ও নির্বাচনের বৈশিষ্ট্য:

হৃষ্টপুষ্টকরণ প্রক্রিয়ার গরুর বয়স একটি গরুত্বপূর্ণ বিষয় । এ প্রক্রিয়ায় সাধারণত ২ বছর হতে ৫ বছরের গরু নির্বাচন করা যেতে পারে । দৈহিক গঠন বয়সের তুলনায় অধিক  ‍গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে গরুগুলো গঠন আকৃতিতে এবং উৎপাদন ক্ষমতায় ভিন্ন। বিভিন্ন প্রকার গরুর একই পুষ্টিমাত্রায় এবং খাদ্য পদ্ধতি ব্যবহার করেও লাভজনক দৈহিক ওজন বৃদ্ধি হয় না। এজন্য নিম্ন লিখিত বিষয়গুলো ব্যবহার করে হৃষ্টপুষ্টকরণের লোম জন্য গরু নির্বাচন করা জরুরি।

ক) দৈহিক আকার বর্গরূপ হবে                             

খ) গায়ের চামড়া ঢিলা, শরীরের হাড়গুলো আনুপাতিকহারে মোটা, মাথাটা চওড়া, ঘাড় চওড়া এবং খাটো

(গ) পাগুলো খাটো এবং সোজাসুজিভাবে শরীরের সাথে যুক্ত

ঘ) পিছনের অংশ ও পিঠ চওড়া এবং চামড়া খাটো, মিলানো এবং

ঙ) গরু অপুষ্ট্ বা দুর্বল কিন্তু রোগা নয় ।         

 

২। কৃমিমুক্ত করণ:  

প্রাণীর খাদ্যনালীতে ক্ষতিকর পরজীবী বাস করে। এরা গৃহীত খাদ্যের উৎকৃষ্ট অংশ খেয়ে জীবন ধারণ ও বংশ বৃদ্ধি করে। এদের কারণ প্রাণী ঠিকমত পুষ্টি না পেয়ে দিন দিন রুগ্ন হয়ে যায়, এবং খাদ্য একসময় উৎপাদন ক্ষমতা হারিয়ে ফেরে। গরুর খাদ্যনালীতে পরজীবী সনাক্ত করে কৃমির ঔষধ ব্যবহার করা ভালো। এজন্য  নিকটস্থ একজন প্রাণী চিকিৎসকের সাহায্য গ্রহণ করা উচিত। প্রাণীর ওজনের ভিত্তিতে কৃমির ঔষধ ব্যবহার বাঞ্চনীয়। গরু নির্বাচনপূর্বক সংগ্রহের পর পরই পারলে সব গরুকে একসাথে কৃমিমুক্ত করাই উচিত। প্রাণী ডাক্তারের নির্দেশ মতো ‍কৃমির ঔষধ ব্যবহার করতে হবে।

 

৩। পুষ্টি ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা   

ক) স্বল্প  মূল্যে সহজপ্রাপ্য খাদ্য ব্যবহারে রশদ তৈরি ।

খ) প্রাপ্ত খাদ্যগুলো প্রয়োজনমতো প্রক্রিয়াজাত

গ) উৎপাদন মৌসুমে খাদ্য সংগ্রহের পর মজুত

ঘ) প্রাণীর প্রয়োজনের ভিত্তিতে দৈনিক খাদ্যতালিকা প্রস্তুত

ঙ) খাদ্য সরবরাহ পদ্ধতি নির্বাচন এবং

চ) খাদ্যজনিত রোগ দমনের ব্যবস্থা

গরুমোটাতাজাকরণে দু’ধরনের খাদ্যের সমন্বয়ে তৈরি করা হয় ।

ক) আঁশ জাতীয় এবং

খ) দানাদার

 

(ক) আঁশ জাতীয়

আমাদের দেশে আঁশ জাতীয় খাদ্যের মধ্যে প্রায় ৭০.০ শতাংশই খড় । ঋতু ও অঞ্চল ভেদে বেশি এবং উন্নত সবুজ ঘাসও পাওয়া যায়। মোটাতাজাকরণে দু’ধরনের আঁশ জাতীয় খাদ্য ভিন্ন ভিন্ন বা এক সাথেও ব্যবহার হতে পারে। তবে উভয় প্রকার খাদ্যই প্রক্রিয়াজাত করা প্রয়োজন।

ধানের খড় হৃষ্টপুষ্টকরণ ব্যবহারের জন্য ইউএমএস প্রযুক্তি ইতোমধ্যেই উদ্ভাবিত হয়েছে। উক্ত খাদ্য প্রযুক্তি প্রাথমিকভাবে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ ব্যবহারের জন্য উদ্ভাবিত হয়। কিন্তু পরবর্তী গবেষণা কার্যক্রমে দেখা যায়, খড়ভিক্তিক উক্ত খাদ্য সকল বয়সের ও উৎপাদন পদ্ধতির জন্য ব্যবহার হতে পারে প্রযুক্তিটি বুকলেট আকারে ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে এবং বিএলআরআই হতে সংগ্রহ করা যেতে পারে। বর্ষা মৌসুমে তাজা ও ভিজা খড় ইউরিয়া মিশিয়ে সংরক্ষণের পর গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ ব্যবহার করা যায়। হৃষ্টপুষ্টকরণে আরও সুফল পাওয়া যেতে পারে। এছাড়া দেশীয় সবুজ ঘাস সরাসরি খাওয়ানো যায়। অধিক পরিমাণে পাওয়া গেলে সবুজ ঘাস সংরক্ষণ প্রযুক্তি (ইতোমধ্যেই উদ্ভাবিত হয়েছে) ব্যবহার করে সাইলেজ করে হৃষ্টপুষ্টকরণ ব্যবহার করা যায়।

উল্লেখিত আঁশজাতীয় খাদ্যগুলো হৃষ্টপুষ্টকরণের জন্য সংগৃহীত প্রাণীকে যথেচ্ছা পরিমাণে খাওয়াতে হবে। আমাদের দেশের প্রায় সব ধরনের সুবজ ঘাস সহজপ্রাচ্য শক্তির উৎস আবহওয়াগত কারণে শীত প্রধান দেশের সবুজ ঘাসের তুলনায় মোটামুটিভাবে কম থাকে। এজন্য গবেষণায় দেখা যায়, প্রাপ্ত সবুজ ঘাস খাওয়ানের সময় শতকরা ১০ ভাগ চিটাগুড় সরাসরি মিশিয়ে দিলে ষাঁড় বলদের দৈহিক ওজন ২০-২৫শতাংশ বেশি বৃদ্ধি পায়। এর মূলে বৈজ্ঞানিক কারণ বিদ্যমান। মূল কথা হলো গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ আমরা যদি সবজ ঘাস ব্যবহার করি তাহলে খাওয়ানোর সময় শতকরা ১০ ভাগ চিটাগুড়া ঘাসের সাথে সরাসরি মিশায়ে খাওয়াতে পারি। খামারি ভাইয়েরা ইউএমএস এবং চিটাগুড়া মিশ্রিত সবুজ ঘাস ভিন্ন ভাবে খাওয়াতে পারেন। অথবা দুটো খাদ্য মিশ্রণ করেও খাওয়াতে পারে ।

সারণি ১: আঁশ জাতীয় খাদ্য প্রস্তুতের জন্য

সূত্র

খাদ্য

শুষ্ক পদার্থের ভিত্তিতে গঠন

খাদ্যের ওজনের ভিত্তিতে গঠন

 

ইউএমএস

খড় : চিটাগুড় : ইউরিয়া

৮২:১৫:৩

১০০:২২-৩০:৩

 

সংরক্ষিত

খড় : ইউরিয়া

১০০:৪

১০০:২.০

 

তাজা ও ভেজা খড়

খড় : চিটাগুড়

৯০:১০

১০০:৩-৫

 

সবুজ ঘাস

সবুজ ঘাস : চিটাগুড়

১০০:১০

১০০:৩.০-৩.৫

 

 

খ) দানাদার মিশ্রণ:

আমাদের দেশে প্রাপ্ত দানাদার ব্যবহারে বিভিন্ন মিশ্রণ তৈরি করে আঁশ জাতীয় খাদ্যের অতিরিক্ত হিসেবে নির্দিষ্ট মাত্রায় ব্যবহার করতে হবে। দানাদার মিশ্রণ তৈরির কিছু ফর্মুলা সারণি ২ এ দেয়া হলো–

সারণি ২: গরু হৃষ্টপুষ্টকরণে ব্যবহারযোগ্য কিছু দানাদার মিশ্রণ:

খাদ্য

মিশ্রণ.১

মিশ্রণ. ২

মিশ্রণ.৩

মিশ্রণ.৪

মিশ্রণ.৫

মিশ্রণ.৬

মিশ্রণ.৭

মিশ্রণ.৮

(১) শস্য (১০০০)

 

 

 

 

 

 

 

 

চাল ভাংগা

 

২০০

 

২০০

 

 

১০০

১০০

গম ভাংগা

 

 

১৫০

 

 

 

 

১০০

ভুট্টা ভাংগা

 

 

 

 

 

১৮০

 

 

খেসারি ভাংগা

 

 

 

 

 

 

১০০

 

(২) কুঁড়া ভূষি

 

 

 

 

 

 

 

 

গমের ভূষি

৫৪০

৩০০

২৫০

১৩০

 

২০০

১৫০

২৫০              

ধানের ভূষি

 

২৩০

২৮০

২০০

৫৩০

২৩০

৩৮০

২৮০

খেসারি ভূষি

২০০

 

 

 

১৪০

১৫০

 

 

মসুর ভূষি

 

 

১০০

১৫০

 

 

 

২০০

(৩) আমিষের উৎস

 

 

 

 

 

 

 

 

তিলের খৈল

১৫০

 

 

১৫০

১৫০

 

 

২০০

নারিকেলের খৈল

 

 

 

 

 

 

২০০

 

সরিষার খৈল

 

১৯০

১৪০

 

 

১৬০

 

 

মাছের গুঁড়া

৮০

৫০

৫০

৫০

-

৫০

৪০

৪০

সয়াবিন মিল

-

-

-

-

৫০

-

-

-

(৪) খনিজ

 

 

 

 

 

 

 

 

লবণ

ঝিনুকের পাউডার

২৫

২৫

২৫

২৫

২৫

২৫

২৫

২৫

চুনাপাথরের পাউডার

-

-

-

-

-

-

-

-

(৫) পুষ্টি উপাদানের মাত্রা

 

 

 

 

 

 

 

 

শুষ্ক পদার্থ (g/Kg)

৯০০

৯০০

৯০০

৯০০

৯০০

৯০০

৯০০

৯০০

মেটাবলিক শক্তি(MJ/ Kg DM)

১০.৭০

১১.২৬

১০.৮৮

১০.০৪

১০.৪৯

১১.০৯

১১.০৬

১১.৪৯

আমিষ (g/Kg DM)

২০৯

১৮৭

১৮৩

১৮১

১৮৩

১৭৯

১৮৪

১৯৬

 

সারণি-২ এ গরু হৃষ্টপুষ্টকরণে ব্যবহারের জন্য কয়েকটি খাদ্য ফর্মুলা প্রদত্ত হলো-      

(ক) খড়ভিত্তিক খাদ্য ফর্মুলা:

১. ইউএমএস যথেচ্ছা পরিমাণ + দানাদার মিশ্রণ (দৈহিক ওজনের শতকরা ০.০৮-১.০ ভাগ) এবং

২. ইউরিয়া দিয়ে সংরক্ষিত খড় + মোট খড়ের শতকরা ৩.০-৪.০ ভাগ চিটাগুড় + দানাদার মিশ্রণ (দৈহিক

    ওজনের শতকরা ০.৮-১.০ ভাগ)।

(খ) সবুজ ঘাস ভিত্তিক খাদ্য ফর্মুলা

১. সবুজ ঘাস + দানাদার মিশ্রণ (দৈহিক ওজনের শতকরা ০.০-১.০ ভাগ)

২. সবুজ ঘাস + মোট ঘাসের শতকরা ২.৫-৩.০ ভাগ চিটাগুড়+দানাদার মিশ্রণ (দৈহিক ওজনের শতকরা  

   ০.০৮-১.০ ভাগ) এবং

৩. সবুজ ঘাস : ইউএমএস + দানাদার মিশ্রণ (দৈহিক ওজনের শতকরা ০.৮-১.০ ভাগ)।

 

গরু হৃষ্টপুষ্টকরণে পুষ্টিজনিত কিছু সমস্যা ও দমনের উপায়:

(ক) এসিডোসিস

অনেক খামারি গরুকে প্রচুর পরিমাণে দানাদার খাদ্য, ভাত অথবা অনেক সময় চিটাগুড় সরাসরি খাইয়ে থাকেন। এ ধরনের খাদ্যগুলো একসঙ্গে বেশি পরিমাণ খাওয়ালে গরুর পেটে ল্যাকটিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয়। গরুর পেট কামড়ায়, অস্বস্তিবোধ করে এবং মাত্রা বেশি হলে পেটে লাথি মারে ও শুয়ে পড়ে।

প্রতিরোধ

দানাদার মিশ্রণ কমপক্ষে দিনে দু’বারে অথবা তিনবারে ভাগ করে সরবরাহ করতে হবে। ভাত অন্যান্য দানাদার মিশ্রণের সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। তবে খরচের বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে। চিটাগুড় সরাসরি খাওয়ানো পরিহার করে বিভিন্ন আঁশ জাতীয় খাদ্যের সাথে ব্যবহারের প্রযুক্তি অনুসারে খাওয়ানো যায় পদ্ধতিগুলো বর্ণনা করা হয়েছে।

চিকিৎসা

এসিডোসিস হয়ে গেলে গরুর পুষ্টি প্রক্রিয়ায় দারুণভাবে ক্ষতি করে। গরু