মৎস্য বিষয়ক আইনসমূহ

মৎস্য সংরক্ষণ আইন

Jakia sultana | ১৬ মে ২০২৪

মৎস্য বিষয়ক আইনসমূহ

মৎস্য সম্পদের গুরুত্ব : এ সম্পদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চাহিদা, প্রাপ্যতা এবং যথাযথ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের বিষয়টি বিবেচনা করে সরকার মঃস্য বিষয়ক কতিপয় আইন ও বিধিমালা প্রনয়ণ করেছেন। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রচলিত মৎস্যবিষয়ক আইনসমূহের সংক্ষিপ্তসার নিচে দেওয়া হলো :

(ক) মৎস্য সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০   

দি প্রটেকশন এন্ড কনজারভেশন অব ফিস এ্যাক্ট-১৯৫০ সাধারণভাবে মৎস্য সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ নামে পরিচিত। নির্বিচারে পোনা মাছ ও প্রজননক্ষম মাছ নিধন মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধিতে বিরাট অন্তরায়। এ সমস্যা দূরীকরণে সরকার মাছের আকার, প্রজনন ও বৃদ্ধির সময়, বিচরণক্ষেত্র ইত্যাদি বিষয়ে কতিপয় বিধি নিষেধ আরোপ করে ১৯৫০ সালে এ আানি প্রনয়ণ করেন।পরবর্তীতে বাস্তব প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে আইনটি সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জন করা হয়। এ আইনের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো নিন্মরূপ:

১. চাষের উদ্দেশ্য ব্যতীত কোন ব্যক্তি কর্তৃক

(ক) প্রতি বছর জুলাই হতে ডিসেম্বর ( আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি হতে পৌষ মাসের মাঝামাঝি) মাস পযর্ন্ত ২৩ সেন্টিমিটারের (৯ ইঞ্চি) ছোট আকারের কাতলা, রুই, মৃগেল, কালিবাউস, ঘনিয়া,

(খ) প্রতি বছর নভেম্বর হতে মে (কার্তিক মাসের মাঝামাঝি হতে বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি) মাস পযর্ন্ত ২৩ সেন্টিমিটারের (৯ ইঞ্চি) ছোট আকারের ইলিশ (যা জাটকা নামে পরিচিত),

(গ) প্রতি বছর নভেম্বর হতে এপ্রিল (কার্তিক মাসের মাঝামাঝি হতে বৈশাখ মাসের শাঝামাঝি) মাস পযর্ন্ত ২৩ সেন্টিমিটারের (৯ ইঞ্চি) ছোট আকারের পাঙ্গাস,

(ঘ) প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি হতে জুন ( মাঘ মাসের মাঝামাঝি হতে আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি) মাস পযর্ন্ত ৩০ সেন্টিমিটারের (১২ ইঞ্চি) ছোট আকারের সিলন, বোয়াল ও আইড় মাছ ধরা নিজের দখলে রাখা পরিবহন বা বিক্রয় করা নিষিদ্ধ।

২. চাষের উদ্দেশ্যে মাছ ধরার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে (বর্তমানে সংশ্লিষ্ট জেলা কর্মকর্তা) নির্ধারিত ফির বিনিময়ে লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হলে বিধিবদ্ধ ২৭ টি নদী, খাল ইত্যাদিতে নির্ধারিত সময়ে যে কোন আকারের রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউস এবং ঘনিয়া আহরণ বা আহরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না।

৩. চাষের উদ্দেশ্র ব্যতীত সাধারণভাবে নদী-নালা, খাল ও বিলে সুযোগ আছে এরূপ জলাশয়ে প্রতি বছর ১ এপি্রল থেকে ৩১ আগস্ট ( চৈত্র মাসের মাঝামাঝি হতে ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি) পযর্ন্ত শোল, গজার, টাকি মাছের ঝাঁক বা দম্পতি মাছ ধরা ও ধ্বংস করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না।

৪. পিরানহা জাতীয় মাছ আমদানী, প্রজনন, চাষ, পরিবহন, প্রদর্শন, সংরক্ষণ এবং বিপনণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।

৫. জলসেচ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বা নর্দমার উদ্দেশ্য ব্যতীত নদী-নালা, খাল ও বিলে অস্থায়ী বাঁধ বা কোনরূপ অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে না।

৬. নদী-নালা, খাল-বিলে স্থায়ী স্থাপনার মাধ্যমে ৯ফিক্সড ইঞ্জিন) সমৎস্য আহরণ করা যাবে না।

৭. বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার করে মাছ মারা যাবে না। অভ্যন্তরীণ জলাভূমিতে বিষ প্রয়োগ, পরিবেশ দূষণ, বাণিজ্যিক বর্জ্য বা অন্যবিদ উপায়ে মাছ ধ্বংসের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না।

৮. মাছ ধরার ক্ষেত্রে ৪.৫ সেন্টিমিটার বা তদাপেক্ষা কম ব্যাস বা দৈর্ঘ্যের ফাঁস বিশিষ্ট ফাঁসজাল এর ব্যবহার নিষিদ্ধ।

৯. ইলিশ অভয়াশ্রম সংরক্ষণ : সরকার ঘোষিত ৪ টি ইলিশ অভয়াশ্রম এলাকায় প্রতি বছর মার্চ হতে এপ্রিল পযর্ন্ত চাঁদপুর ঝেলার ষাটনার হতে লক্ষীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পযর্ন্ত মেঘনা নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকা, ভোলা জেলার মদনপুর/চর ইলিশা হতে চর পিয়াল পযর্ন্ত মেঘনা শাহবাজপুর শাখা নদীর ৯০ কিরোমিটার, ভোলা জেলার ভেদুরিয়া হতে পটুয়াখালী জেলার চর রুস্তম পযর্ন্ত তেঁতুলিয়া নদীর প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা এবং প্রতিবছর নভেম্বর হতে জানুয়ারি পযর্ন্ত পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার আন্ধামানিক নদীর ৪০ কিলোমিটার এলাকায় কোন ব্যক্তি মাছ ধরতে বা মাছ ধরার কারণ সৃষ্টি করতে পারবে না।

১০. ইলিশ প্রজননক্ষেত্র সংরক্ষন : ইলিশ মাছের অবাধ প্রজননের সুযোগ দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার শাহেরখালী/হাইতকান্দি পয়েন্ট, ভোলা জেলার তজুমদ্দিন/পশ্চিম সৈয়দ আওলিয়া পয়েন্ট, কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া/গন্ডামারা পয়েন্ট এবং পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপারী পয়েন্ট সমূহের অর্ন্তগত প্রায় ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকার প্রজনন ক্ষেত্রে প্রতি বছর ১৫-২৪ অক্টোবর (১-১০ আশ্বিন) ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ।

১১. মৎস্য অফিসার বা পুলিশ অফিসার (সাব ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার নিচে নহে) এর অভিযোগ বা রিপোর্টের ভিত্তিতে মৎস্য আমল ভঙ্গ করা আমলযোগ্য অপরাধ (কগনিজিবল অফেন্স)

১২. শাস্তি

ক) প্রথমবার আইন ভঙ্গকারীর শাস্তি হবে ১ মাস হতে সর্বোচ্চ ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড এবং তৎসহ সর্বোচ্চ ১০০০/- টাকা জরিমানা।

খ) পরবর্তীতে প্রতিবার আইন ভঙ্গের জন্য কমপক্ষে ২ মাস হতে সর্বোচ্চ ১ বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং তৎসহ সর্বোচ্চ ২০০০/- টাকা জরিমানা।

(খ) পুকুর উন্নয়ন আইন, ১৯৩৯

গ্রামবাংলার বেসরকারি মালিকাধীন অসংখ্য ছোট বড় পুকুর বহুমালিকাধীন থাকায় শরীকদের মতান্তরসহ বিধি কারণে অব্যবহৃত থাকা এরূপ মজা ও পতিত পুকুর সংস্কান করে মাছ চাষের আওতায় আনার জন্য ১৯৩৯ সারে পুকুর উন্নয়ন আইন প্রণীত হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে আইনটি সময়োপয়োগী করে সংশোধন করা হয়। এ আইনের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট সমূহ নিন্মরূপ :

১. পতিত হিসেবে চিহ্নিত কোন দীঘি বা পুকুর প্রয়োজনীয় সংস্কারমূলক কাজ করে তা মাছ চাষের আওতায় আনার জন্য জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহি অফিসার পুকুর মালিককে নোটিম দিবে।

২. নোটিশ দেওয়ার পর যদি পুকুর মালিক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাছ চাষ না করেন, তাহলে জেলা প্রশাসক বা উপডজেলা নির্বাহি অফিসার সংশ্লিষ্ট পুকুরটিকে একটি পতিত পুকুর হিসেবে ঘোসণা করে উহা অধিগ্রহণ করবেন।

৩. অধিগ্রহণকৃত পুকুরটিতে মাচ চাষের আগ্রহী স্থানীয় কোন সংস্থা বা সমিতির বা ব্যক্তির কাছে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য (তবে ২০ বছরের বেশি নয়) তা হস্তান্তর করবেন।

৪. বহুমালিকানাধীন পুকুরের ক্ষেত্রের একজন/একাধিক অংশীদার ক্ংখিত সংস্কারমূলক কাজ করে মাচ চাষে আগ্রহী থাকলে হস্তান্তরকালে এরূপ অংশীদারদের অগ্রাধীকার দেয়া হবে।

৫. হস্তান্তরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুকুর মালিককে পুকুর ফেরত দেয়া হবে।

৬. পুকুরটি সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকাকালে পুকুর মালিক তার পুকুরটির জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত খাজনা বা ভাড়া পাবেন।

 

গ) সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ১৯৮৩

বাংলাদেমের সমুদ্রসীমায় সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ এবং উন্নয়নের জন্য সরকার ‘দি মেরিন ফিশারিজ অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৩’ (অর্ডিন্যান্স নং ৩৫, ১৯৮৩) জারী করেন এবং তদাধীন ‘দি মেরিন ফিসারিজ রুলস, ১৯৮৩ প্রনয়ণ করেন। ইহা সাধারণভাবে সামুদ্রিক আইন ১৯৮৩ নামে পরিচিত। এ আইনের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো নিন্মরূপ :

১. প্রতিটি মৎস্য নৌযান (ট্রলার এবং যান্ত্রিক নৌকা) এর জন্য নির্ধারিত ফি ( সর্বনিন্ম ৭৫০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭৫,০০০ টাকা পযর্ন্ত) প্রদান সাপেক্ষে বাৎসরিক পিসিং লাইসেন্স (জানুয়ারি –ডিসেম্বর মেয়াদে) গ্রহণ বাধ্যতামূলক।

২. লাইসেন্সধারীর জন্য আহরণকৃত ও বিক্রয়কৃত মৎস্য সম্পর্কিত তথ্যাদি সরবরাহ করা বাধ্যতামূলক।

৩. বিপদগ্রস্থ বা আইনানুগ প্রয়োজন ব্যতীত বাংলাদেশের জলসীমায় কোন বিদেশী মৎস্য নৌযানের আগমন নিষিদ্ধ।

৪. অবৈধ অনুপ্রবেমকারী বিদেশী মৎস্য নৌযান বাংলাদেশ সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে।

৫. অথরাইজড অফিসার মৎস্য নৌযান থামানো, পরীক্ষা করা, অঙ্গনে প্রবেশ করা, নৌযান বাজেয়াপ্তকরণ ইত্যাদি পদক্সেপ গ্রহণ করতে পারেন।

৬. ব্যবহৃত জালের ফাঁসের আকার হবে-

ক) চিংড়ি ধরার ট্রল নেটের কড প্রান্তে জালের ফাঁসের আকার হবে কমপক্ষে ৪৫ মিলিমিটার।

খ) মাছ ধরার ট্রল নেটের কড প্রান্তে জালের ফাঁসের আকার হবে কমপক্ষে ৬০ মিলিমিটার।

গ) বড় ফাঁসযুক্ত ভাসান জালের ফাঁসের আকার হবে কমপক্ষে ২০০ মিলিমিটার।

ঘ) ছোট ফাঁসযুক্ত ভাসান জালের ফাঁসের আকার হবে কমপক্ষে ১০০ মিলিমিটার।

ঙ) বেহুন্দি জালের কড প্রান্তে জালের ফাঁসের আকার হবে কমপক্ষে ৪৫ মিলিমিটার।

৭. মৎস্য আহরণ এলাকা-

ক) সর্বোচ্চ জোয়ারে বেহুন্দি জাল, বড়শী, ছোট ও বড় ফাঁসের ভাসান জাল দ্বারা ৪০ মিটার গভীরতা পযর্ন্ত মৎস্য আহরণ এলাকা সীমাবদ্ধ এবং

খ) সর্বোচ্চ জোয়ারে ৪০ মিটার গভীরতার বাইরে ট্রলার দ্বারা মৎস্য/চিংড়ি আহরণ এলাকা নির্ধারিত।

৮. ক) বিধিবদ্ধ বিনির্দেশ- এর কম ফাঁস বিশিষ্ট জালের ব্যবহার।

খ) বিস্ফোরক, বিষ এবং অন্যান্য অবশকারী দ্রব্যাদি ব্যবহার এবং

গ) যে কোন সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আহরণের জন্য বিদ্যুতায়ন প্রক্রিয়ার ব্যবহার নিষিদ্ধ।

৯. বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্য আহরণের জন্য-

ক) ফিসিং লাইসেন্স

খ) প্রয়োজনীয় সনদপত্র

গ) জাতীয়তা প্রদর্শনকারী পতাকা ও দৃস্টিগ্রাহ্য পরিচিত চিহ্ন এবং

ঘ) সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আহরণে নিয়োজিত প্রত্যেকের জন্য সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর কর্তৃক জারীকৃত পরিচয়পত্র প্রয়োজন।

১০. মৎস্য অবতারন ও ট্রান্সশিপমেন্টের সময় অথরাইজড অফিসারের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।

১১. সরকার মৎস্যসম্পদ সংরক্সণ ও উনানয়নের স্বার্থে বঙ্গোপসাগরের ৪ টি মৎস্যচারণ ক্ষেত্রের ২ টিতে (মিডল গ্রাউন্ড ও সাউথ প্যাচেস) ৬৯৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা (মেরিন রিজার্ভ) হিসেবে ঘোষণা হয়েছে।

১২. বাংলাদেশের সামুদ্রিক উপকূলীয় জলসীমা এবং মোহনায় প্রাকৃতিক উৎস থেকে চিংড়ি পোনা ও অন্য প্রজাতির যে কোন ধরণের মৎস্য পোনা আহরণ ও নিধন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

১৩. সামুদ্রিক আইনের বিধানাবলীর লংঘনে-শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে নৌযান বাজেয়াপ্তকরণ, জরিমানা ও বিভিন্ন মেয়াদে সশ্রম কারাদন্ডের বিধান রয়েছে।

(ঘ) দি ফিস এন্ড ফিস প্রডাক্টস (ইন্সপেকশন এন্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৩ এবং মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ১৯৯৭।

১. লাইসেন্স ব্যতীত মৎস্য ও মৎস্যজাতপণ্য প্রক্রিয়াকরণ, বাজারজাতকরণ, সরবরাহ ও রপ্তানি করা যাবে না।

২. মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণের প্রতি ধাপে হ্যাসাপ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

৩. অস্বাস্থ্যকর, পঁচা অথবা দূষিত মাছ প্রক্রিয়াকরণ অথবা রপ্তানি করা বা সরবরাহ করা যাবে না।

৪.স্বাস্থ্যসম্মত সার্ভিস সেন্টার/অবতরণ কেন্দ্র/ডিপো/আড়তের মাধ্যমে মাছ/চিংড়ির প্রাথমিক পরিচর্যার কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

৫. মাছ/চিংড়ি চাষে এমন কোন এন্টিবায়োটিক, পেস্টিসাইড, হরমোন বা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার এবং মাছ প্রক্রিয়াকরণে এমন কোন উপাদান ব্যবহার করা যাবে না, যা মাছের গুণগতমান নষ্ট করে।

৬.স্বাস্থ্যকরত্ব সনদপত্র ব্যতীত কোন মাছ রপ্তানি করা যাবে না।

৭. প্রক্রিয়াকরণের সাথে সংশ্লিষ্ট সমুদয় বিষয়াদি পরিদর্শক কর্তৃক পরিদর্শনযোগ্য।

৮. স্বাস্থ্যকরত্ব সনদপত্র প্রদানের অযোগ্য মাছ বিনষ্টযোগ্য।

৯. নির্ধারিত পি প্রদান সাপেক্ষে লাইসেন্স, স্বাস্থ্যকরত্ব সনদপত্র, নমুনা পরীক্ষা এবং আপীলের সুযোগ গ্রহণ করা যাবে।

১০. বিধিমালার যে কোন শর্ত ভঙ্গ করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।